মাত্র ১ মাসেই ড্যামেজড হেয়ার রিপেয়ার করুন মাত্র ৪টি ধাপে!

ড্যামেজড হেয়ার নিয়ে চিন্তিত? ইদানিং এতো বেশি পল্যুশন, ধুলোময়লা; এতে আমাদের চুল খুব তাড়াতাড়ি ফ্রিজি আর ড্রাই হয়ে যায়। সেই সাথে হিট প্রোটেকটর ছাড়া রেগুলার হিট স্টাইলিং, হেয়ার স্প্রে এর ব্যবহার, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট- সব মিলিয়ে চুলের বারোটা বেজে যায়! কি ঠিক বললাম তো? সুস্থ, সুন্দর আর ঝলমলে চুল কীভাবে পাবো, এটাই সবথেকে বড় চিন্তা। মাত্র ১ মাসেই ড্যামেজড হেয়ার রিপেয়ার করা পসিবল! দেরি না করে জেনে নেই চলুন।

হেয়ার ড্যামেজের বিভিন্ন ধরন

সল্যুশন জানার আগে হেয়ার ড্যামেজের বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

কেমিক্যাল ড্যামেজ

পার্মানেন্ট হেয়ার স্ট্রেইটনিং, রিবন্ডিং, পার্মিং এগুলো চুলের অভ্যন্তরীণ গঠন ও টেক্সচারকে পরিবর্তন করে দেয়। এই কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের পরে সঠিকভাবে চুলের যত্ন না নিলে হেয়ার ব্রেকেজ বা আগা ফাটার মতো সমস্যা হতে পারে।

কালার ড্যামেজ

অনেক সময় হেয়ার কালারে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (ব্লিচিং এজেন্ট) ও অ্যামোনিয়া থাকে, যা হেয়ার কিউটিকলগুলো ওপেন করে দেয়। এর ফলে হেয়ার স্ট্রাকচারে বিরূপ প্রভাব পড়ে। বার বার যখন এই ধরনের এজেন্ট আপনার চুলে ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন চুল খুব স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

ফ্রিজিনেস, ড্রাইনেস

কালার বা কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট না করলেও চুল অনেক সময় রাফ হয়ে যায়। হাইড্রেশনের অভাবে, সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন না নিলে, সূর্যরশ্মির কারণে, কন্ডিশনিং না করার জন্য- এমন বিভিন্ন কারণেই কিন্তু হেয়ার ড্যামেজ হতে পারে। ফ্রিজিনেস, ড্রাইনেস, ব্রেকেজ এগুলো সবই ড্যামেজড হেয়ারের লক্ষণ।

এছাড়াও হিট স্টাইলিং টুলস রেগুলার ইউজ করা, ওয়েদার চেঞ্জ, হার্শ ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত প্রোডাক্টের ব্যবহার, পুষ্টির অভাব এমন নানা কারণেই চুল ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

মাত্র ১ মাসেই ড্যামেজড হেয়ার রিপেয়ার

আজ একদম সিম্পল ও মিনিমাল হেয়ার কেয়ার রুটিন শেয়ার করবো যা ফলো করলে মাত্র ১ মাসেই ড্যামেজড হেয়ারে ভিজিবল চেঞ্জ দেখতে পাবেন। তবে হেয়ার কতটুকু ড্যামেজ হয়েছে, আপনার লাইফস্টাইল কেমন, কী কী প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন, এসব কিছুই কিন্তু এর সাথে জড়িত। চলুন দেখে নেই হেয়ার কেয়ার স্টেপগুলো-

১) কনসার্ন অনুযায়ী শ্যাম্পু সিলেক্ট করুন

প্রথমেই আপনাকে নজর দিতে হবে শ্যাম্পুর ইনগ্রেডিয়েন্টে। নারিশিং ও ময়েশ্চারাইজিং ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকবে, ড্রাই না করেই প্রোপারলি ক্লিন করবে, চুলকে শাইনি ও সফট রাখবে- এমন শ্যাম্পু আপনাকে বেছে নিতে হবে। বানানা, এগ প্রোটিন, অ্যালোভেরা, কোলাজেন, বায়োটিন, কোকোনাট মিল্ক এই উপাদানগুলো ড্রাই ও রাফ হেয়ারে বেশ ভালো কাজ করে। যদি হেয়ার কালার করা থাকে, তাহলে কালার প্রোটেকশন হেয়ার কেয়ার রেঞ্জ বেছে নিন।

Leave Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *